ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::  সোশ্যাল মিডিয়ায় চকরিয়া জমজম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ফয়েজুর রহমানের চিকিৎসা সংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রচার সম্পর্কে সরেজমিন যাচাই পূর্বক প্রকৃত সত্য ঘটনা উপস্থাপন করা হল। কোন মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। চিকিৎসক ও একজন মানুষ।তাহার ও ভুল হতে পারে। ৯০ এর দশকে, অবিভক্ত চকরিয়া উপজেলায় সন্তান সম্ভাবা মা- বোনদের নিয়মিত ফলোআপ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে ডেলিভারির ক্ষেত্রে অহরহ দূর্ঘটনা যখন নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার ছিল।ঠিক তখনই ডাঃ ফয়েজুর রহমান প্রথম বিশেষজ্ঞ গাইনোকলজিষ্ট হিসাবে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। এই এলাকায়, মা ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাসে তাহার অবদান অপরিসীম।  গত ২০ দিন পূর্বে অর্থাৎ ২০/১২/২০২৪ ইং তারিখ ডাঃ ফয়েজুর রহমানের চিকিৎসায় ভুমিষ্ট হওয়া রোখসানা বেগমের সন্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জমজম হাসপাতালের শিশু ডাক্তারের পরামর্শে চট্রগ্রাম মেডিকেলে পাঠালে একদিন পর চিকিৎসা রত অবস্থায় নবজাত শিশুটি মৃত্যু বরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিওন।শিশুটি মৃত্যু বরণের একদিন পর বাচ্চার মা রোখসানার শারীরিক অবস্থা অবহিত করে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য স্বামী আনিসুর রহমান নিজে ডাঃ ফয়েজুর রহমানের নিকট নিয়ে আসেন। ডাক্তারের প্রতি কতটুক আস্থা থাকলে সন্তানকে দাফন করার পরদিন পুনরায় স্ত্রীকে নিয়ে ঐ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসতে পারেন তা প্রত্যেক বিবেকবান পাঠকদের বিবেচনায় আনা দরকার। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ থাকলে তখনই প্রকাশ হওয়ার কথা। প্রায় ২০ দিন পর নয়। প্রচার আছে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সর্বদা নরমাল ডেলিভারির চেয়ে সিজারের প্রতি ডাক্তারদের বেশী আগ্রহ থাকায় রুগীদের ভোগান্তি বেশী হয়। কিন্তু আনিসুর রহমানের বক্তব্য একেবারে ভিন্ন।প্রকৃত ঘটনা নিম্নরূপঃ

১৯/১২/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় রোকসানা আক্তার, স্বামী মোঃ আনিসুর রহমান, প্রসব ব্যাথা নিয়ে জমজম হাসাপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ ফয়জুর রহমান সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেন । ডাঃ মোঃ ফয়জুর রহমান সাহেব রোগীর যথারীতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন । সে অনুযায়ী রোগী ভর্তি হন । ডাঃ ফয়জুর রহমান এবং কর্তব্যরত নার্সগণ নিয়মিত রোগির ফলোআপ করেন । এক পর্যায়ে রোগীর গর্ভস্থ সন্তানের নিরাপত্তা বিবেচনা করে ডাক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করার পরামর্শ দেন । কিন্তু রোগী এবং তাঁর সঙ্গী সাথীগণ সিজারিয়ান অপারেশন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন । এবং তাঁরা নরমাল ডেলিভারির জন্য ডাক্তার এবং নার্স কে বার বার অনুরোধ করেন এবং বলেন যেভাবেই হোক আমাদের রোগী নরমাল ডেলিভারি করতে হবে । ডাঃ ফয়েজুর রহমান রোগীকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে বলে চলে গিয়েছিলেন।রাত তিনটার দিকে রোগীর প্রসব বেদনা বেড়ে যাওয়ায় ডাঃ ফয়জুর রহমান সাহেব ও কর্তব্যরত নার্সের সহায়তায় একটি মেয়ে বাচ্চা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে প্রসব করেন।  নবজাতকের সু-চিকিৎসার জন্য শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখাতে পরামর্শ দেওয়া হয় । পরামর্শ মতে তাঁরা জমজম হাসাপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখান এবং ডাক্তার নবজাতকের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেন এবং আরোও উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন । যথারীতি নবজাতককে চট্টগ্রামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন । চিকিৎসারত অবস্থায় নবজাতক অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে মৃত্যু বরণ করেন । এই ঘটনাকে কেউ যদি উদ্দ্যেশ্যমূলকভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চান, প্রকৃত বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রচার না হলে, কোন ডাক্তার অদুর ভবিষ্যতে মানবিক কারণে আর এগিয়ে আসবেন কিনা সন্দেহ আছে।

পাঠকের মতামত: